রিয়াদ হাসান: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে এখন মানুষের বাক, ব্যক্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অপহৃত করা হয়েছে। দেশে এক অসহনীয় ঘোর দুর্দিন বিরাজমান। ২৪ মার্চ ‘কালো দিবস’ (এরশাদ কর্তৃক ক্ষমতা দখল) উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এ দিনে সামরিক ফরমান জারি করে শহীদ জিয়ার পুনরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল নাগরিক স্বাধীনতা। তিনি আরো বলেন, ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেই স্বৈরশাসকের সঙ্গে অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বর্তমান অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীর আঁতাত পুনরায় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের পথ চলাকে আটকিয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র চিরস্থায়ীভাবে দেশ থেকে বিদায় করে দেওয়ার লক্ষ্যেই বারবার যিনি গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের বন্দীশালা থেকে মুক্ত করেছেন- সেই আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। 

তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী একনায়কতান্ত্রিক অবৈধ সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার আওয়াজ তুলতেও দেশের গণতন্ত্রমনা জনগণের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব